বাংলাদেশের জন্য যে সকল দেশের ভিসা চালু আছে
বাংলাদেশের জন্য কোন কোন দেশের ভিসা খোলা রয়েছে:
বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য সৌদি আরব, ইতালি, ভারত, কানাডা, ভুটান, জর্ডান, সার্বিয়া , সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আয়ারল্যান্ড ,আর্জেন্টিনা, ও রোমানিয়া সহ প্রায় ৫০ টি দেশের ভিসা খোলা আছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে 40 টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
আপনারা অবশ্যই জানতে ইচ্ছুক বাংলাদেশের জন্য বিদেশী কোন কোন দেশের ভিসা খোলা আছে। কোন দেশে ভ্রমণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই ওই দেশের জন্য বাংলাদেশের ভিসা খোলা আছে কিনা। অন্যথায় ভিসার আবেদন করতে গিয়ে মতামত চেঞ্জ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশের ভিসা চালু আছে সেগুলো হল:
১. সৌদি আরব
২. কানাডা
৩. সুইডেন
৪. মারিসাস
৫. রোমানিয়া
৬. বাহরাইন
৭. ব্রুনাই
৮. কেনিয়া
৯. জর্জিয়া
১০. বেলারুশ
১১. জর্ডান
১২. ফিলিপাইন
১৩. অস্ট্রেলিয়া
১৪. তাওয়ান
১৫. মরক্কো
১৬. বুলগেরিয়া
১৭. অস্ট্রিয়া
১৮. কাতার
১৯. লিবিয়া
২০. পোল্যান্ড
২১. মালয়েশিয়া
২২. সিঙ্গাপুর
২৩. দুবাই
২৪. আলজেরিয়া
২৫. মেক্সিকো
২৬. জার্মানি
২৭. মাল্টা
২৮. হাঙ্গেরি
২৯. ফিজি
৩০. ফিনল্যান্ড
৩১. নিউজিল্যান্ড
৩২. লিথুনিয়া
৩৩. কোরিয়া
৩৪. কুয়েত
৩৫. ওমান
৩৬. মালদ্বীপ
এ সকল দেশগুলোতে বর্তমানে কাজের জন্য বাঙালিরা ভ্রমন করতে পারবে। এছাড়া সম্প্রতি আরো অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত কিছু দেশ:
এখানে প্রতিষ্ঠিত দেশ বলতে বুঝানো হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব বেশি ভ্রমণ করে এবং এই সকল দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করে।
বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী আছে এই সকল দেশগুলোতে, সেগুলো হল:
সৌদি আরব, কাতার, কানাডা, ইতালি, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, সার্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, দুবাই, ফিনল্যান্ড, মরক্কো, আয়ারল্যান্ড, জর্জিয়া, ফিজি, আবুধাবি, লিথুনিয়া, ও সুইডেন ইত্যাদি।
সাধারণত এই সকল দেশগুলোতে বাংলাদেশী নাগরিকরা বেশি প্রতিষ্ঠিত।
ভিসা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা:
ভিসা করার পূর্বে অবশ্যই সে দেশের ভিসা আসলে চালু আছে কিনা, ভিসার শর্ত কি কি, আবেদন ফি কত, এবং আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য জেনে নিবেন। আপনি সে ভিসার শর্ত অনুযায়ী যেতে পারবেন কিনা তা জেনে নিবেন।
এরপর অথোরাইজড এজেন্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করবেন। অথরাইজড এজেন্ট ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে আবেদন, পাসপোর্ট দিবেন না বা টাকা পয়সা লেনদেন করবেন না।
ভিসার সম্পূর্ণ টাকা পরিষদের আগে অবশ্যই অনলাইনে ভিসা চেক করে নিবেন। তা না পারলে অন্তত বিদেশ যাওয়ার আগে হলেও চেক করে নিবেন । এর ফলে সে দেশে গিয়ে আর বিপদে পড়বেন না ।বাংলাদেশের ভিসা করার ক্ষেত্রে যে সকল প্রতারণাগুলো বেশি হয়ে থাকে সেগুলো হলো কাজের ভিসা দেবার কথা বলে অন্য কোন ভিসা ধরিয়ে দেয়।
সাধারণত এ সকল প্রতারণাগুলো অনেক দালাল চক্র করে থাকে। তাই ভিসা করার আগে অবশ্যই এটুকু সতর্কতা অবলম্বন করবেন। এছাড়া অনেক প্রতারক চক্র আছে যারা বিদেশ পাঠানোর কথা বলে টাকা নেয় পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না কেননা তারা টাকা নিয়ে অন্য কোথাও চলে যায়।
অবশেষে বলতে পারি যে আজকের আর্টিকেলটা যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই লাইক এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর ভিসা সম্পর্কে আপনাদের আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানাবেন।