মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে,মালয়েশিয়া তে কি কি কাজ রয়েছে এবং বেতন কত
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ২০২৩:
দীর্ঘদিন ধরে অনেকে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য অপেক্ষা করে আছে। তারই ফলস্বরূপ অবশেষে তিন বছর পর মালয়েশিয়ার ভিসা বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য খুলেছে। ১৯ ডিসেম্বর২০২১ মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অর্থাৎ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে মালয়েশিয়ার ভিসা খুলে গেল।
বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে যে দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমিক নেওয়ার অবৈধ সিন্ডিকেট আছে এইটাকে বন্ধ করার জন্য তৎকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বিগত তিন চার বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া পুরোপুরিভাবে বন্ধ রেখেছিলেন।
এমনকি মালয়েশিয়া তে অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি যাদের কোন কার্ড নেই তাদেরকে ধরে ধরে ফেরত পাঠিয়ে দিতেছিল। তাহলে কেন এখন মালেশিয়ার সরকার বাংলাদেশীদের প্রতি দয়া দেখিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা খুলে দিল।
এর প্রধান কারণ হচ্ছে মালয়েশিয়াতে বর্তমানে দক্ষ জনবল খুবই অভাব। তাই আমাদের দেশে এখন প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। ফলে মালয়েশিয়া কাজের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খুলে দিয়েছে। চলুন দেখে নেই কি কি ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের লোক নেবে।
মালয়েশিয়া তে কি কি কাজ রয়েছে:
১. কৃষি ক্ষেত্র-
মালয়েশিয়াতে আপনারা জানেন পাম গাছ থেকে প্রচুর ফলন হয়। আর পাম গাছের থেকে পাম্প ওয়েল উৎপন্ন হয়। এই ক্ষেত্রে প্রচুর সংখ্যক এক্সপেরিয়েন্স লোক দরকার।
২.নির্মাণ শ্রমিক-
দুই নাম্বার হচ্ছে মালয়েশিয়ায় যে ওদের ইন ফাস্ট ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ রয়েছে সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
৩.বিভিন্ন সেবামূলক ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ-
তৃতীয় যে বিষয়টি রয়েছে সেটা হচ্ছে মালয়েশিয়া যে বিভিন্ন সেবামূলক ক্ষেত্র যেমন- হোটেল, রিসোর্ট গুলো রয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে লোক নিচ্ছে। কারণ দীর্ঘ দুই বছর করনাকালীন দুর্যোগের সময় তাদের যে ক্ষতিটা হয়েছে এটাকে কাটিয়ে তোলার জন্য হোটেল রিসোর্ট ব্যবসা গুলোতে বর্তমানে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করতেছে।
তাই এই কাজগুলোতে অবশ্যই experience লোক দরকার। পাশাপাশি তাদের গৃহকর্মীও দরকার হয়, বিশেষ করে মহিলা গৃহকর্মী মালয়েশিয়াতে দরকার।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার শ্রমিক নিবে কিভাবে:
মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। যেটাকে বলে g2g এই g2g ভিত্তিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে
G2G কি?
G2G হচ্ছেGovernment to Government ।এখানে কোন ব্যক্তি বিশেষের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মালয়েশিয়ান গভারমেন্ট এবং বাংলাদেশ government তারা যৌথভাবে মালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়োগ দিবে ।
মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত?
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের ঘোষণা অনুযায়ী শীঘ্রই মালয়েশিয়াতে সর্বনিম্ন কাজের বেতন হিসেবে নির্ধারণ করা হবে 1 হাজার ২০০ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৪ হাজার ৪২০ টাকার সমপরিমাণ।
মালয়েশিয়া জব ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে যে কাজ করতে যাবেন এটার শুরু সেলারি বাংলাদেশি টাকা দিয়ে ২৪০০০ দিয়ে শুরু হবে। এরপর আপনার এক্সপেরিয়েন্স এর উপর ডিপেন্ড করে এটা ৫০ থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
মনে রাখবেন একজন নির্মাণ শ্রমিকের বেতন এবং একজন হোটেল রেস্টুরেন্টের শ্রমিকের বেতন কিন্তু সেখানে সমান হবে না। কাজের ভিত্তিতে বেতনের যে পার্থক্য হবে সেটা হয়তো আপনারা নিজের আন্দাজ করতে পারতেছেন।
মালয়েশিয়ার ভিসার খরচ কত?
সবার মনে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সেটা হচ্ছে মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসার খরচ কত। মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসার খরচ অর্থাৎ পাসপোর্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে মালয়েশিয়ার পৌঁছানোর পর্যন্ত টোটাল দায়িত্বটা কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের।
মালয়েশিয়া যাওয়ার টোটাল খরচ পাসপোর্ট তৈরি করা থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ হবে মাত্র ৩০ হাজার টাকা। চমকে গেলেন তো! ওয়েলস এবং বিএমইটির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা, ফিঙ্গার দেওয়া, মেডিকেল করার ট্রেনিং, এবং আপনার পাসপোর্ট খরচ সময় ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যেই পড়ে।
মালয়েশিয়ার ফ্লাইট চালু হবে কবে সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন পরবর্তী আপডেটসহ অন্যান্য বিষয় জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকবেন।