google-site-verification=YA0d_Eb5tJKkqhI6Vt7qJIXkplNVvbnoO5O5JjptJDs
Bengali

কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি-

কুয়েতে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি তা না জেনেই অনেকে কুয়েতে  গিয়ে পড়ে কাজ  নিয়ে হিমশিম খেতে হয়।  তাই কুয়েতে যাওয়ার আগে  সে দেশের কাজের অবস্থা, কাজের ধরন, কাজের চাহিদা সম্পর্কে জেনে যাওয়া উচিত।

কুয়েতে মূলত ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান, সবকিপার, ড্রাইভিং, সাধারণ লেবার, রাজমিস্ত্রি কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি।  সেখানে ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রনিশিয়ান ও ড্রাইভিং এ ধরনের কাজ সেখানে এখনো অনেক চাহিদা রয়েছে।

কুয়েতের একটি তেল সমৃদ্ধ অর্থনীতি রয়েছে।  আপনি যদি একজন পেট্রো কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা একজন খনি শ্রমিক হন  তাহলে আপনি সহজে কুয়েতে চাকরি খোঁজার চেষ্টা করতে পারবেন।  তাছাড়া কারেন্টের কাজ ও ওয়েল্ডিং বা ঝালাই কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনার সে দেশে অনেক দাম রয়েছে।  এছাড়া ড্রাইভিং ও অনেক চাহিদা আছে, ড্রাইভিং শিখে গেলে সেখানে কাজ ভালো পাবেন।

কুয়েতে যে কাজে চাহিদা বেশি-

কুয়েতের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী, কুয়েতের পেট্রোলিয়াম বাজারে-  রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সর্বদা বেশি জোরালো চাহিদা থাকে।  কুয়েতে অফিস সহায়ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, বিদেশি সাহায্যকারীরা বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত বহুজাতিক সংস্থা  গুলিতে নিযুক্ত হয়।

কুয়েতে ইলেকট্রিক্যাল কাজের চাহিদা-

ইলেকট্রিক্যাল কাজের চাহিদা পুরো দেশব্যাপী রয়েছে। কুয়েত উন্নত বিশ্বের তালিকার সঙ্গে বেশ তাল মিলিয়ে চলছে।  যার কারণে কুয়েতে ইলেকট্রনিক কাজের চাহিদা রয়েছে।  তবে কুয়েতের ইলেকট্রনিক কাজের ভিসা নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই দেশ থেকে কমপক্ষে এক বছর ট্রেনিং নিতে হবে।

এ কাজের জন্য অনেক দক্ষতা প্রয়োজন হয়।  তাই দেশ থেকে ন্যূনতম এক বছরের ট্রেনিং নিয়ে তারপর কুয়েতে ইলেকট্রনিক কাজের জন্য দেওয়া উচিত

কুয়েতে construction কোম্পানিতে কাজের চাহিদা-

কুয়েতের দেশটি ব্যাপকভাবে উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।  ব্যাপকভাবে উন্নতি হচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণে ভবন নির্মাণ হচ্ছে কুয়েতে।  এ সকল ভবন নির্মাণ করতে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।  তাই বিভিন্ন দেশ থেকে কুয়েতে কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে আসে থাকে

কুয়েতে বাসা বাড়িতে কাজের চাহিদা-

কুয়েতের দৃষ্টিতে ক্লিনার এর কাজ থাকলেও বাসা বাড়িতে তেমন কাজের চাহিদা নেই।  তবে বাসা বাড়িতে ক্লিনারের কাজ রয়েছে ব্যাপক।  তবে স্থায়ীভাবে বাসা বাড়িতে কাজ করার জন্য কুয়েতে তেমন চাহিদা নেই।  বাসা বাড়িতে কাজ করার জন্য কুয়েত দিয়ে থাকে 25 থেকে 45 হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়।  বাংলাদেশ থেকে বহু নারী কুয়েতে বাসা বাড়িতে কাজ করার জন্য গিয়ে থাকে।

কুয়েতে কোম্পানি থেকে কাজের চাহিদা-

কুয়েতের বেশিরভাগ কাজ কোম্পানি নির্ভর। মালিকানায় কাজ খুব কম রয়েছে।  তাই কুয়েতে কাজ করতে গেলে অবশ্যই জীবনে একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। কুয়েতে কোম্পানি ভিসা পেতে হলে আপনাকে 6 থেকে 8 লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।  আপনি ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন।

এক কথায় বলা যায় কুয়েতে কোম্পানির চাকরি চাহিদা প্রচুর। কোম্পানির মাধ্যমে চুক্তি ছাড়া আপনি তেমন কাজ পাবেন না।  যদিও সরকারি মাধ্যমে কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

কুয়েতে ওয়েল্ডিং কাদের চাহিদা বেশি-

কুয়েতে প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ কাজ রয়েছে্ এমন অবস্থায় কুয়েতে যেমন ইলেকট্রিক ও কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য লোক নেয় ঠিক তেমনি, কুয়েতে ওয়েল্ডিং কাজেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তবে কুয়েতে ওয়েল্ডিং কাজ করার জন্য আপনাকে কিছু স্কিল ডেভলপ করতে হবে।

কুয়েতের শেফ কাজের চাহিদা-

কুয়েতে রান্নাবান্না করার জন্য সেপের কাজে বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে। তবে কুয়েতের সেফ এর কাজের জন্য যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই হাতে রান্না শিখতে হবে । শুধু হাতে রান্না শিখলে হবেনা আপনার হাতের রান্না অনেক সুন্দর হতে পারে। কুয়েতের সেফের কাজের জন্ আপনাকে কুয়েতে যে সকল রান্না সবচেয়ে বেশি পরিচিত সেগুলো বেশি করে রান্না করা শিখতে হবে।

সবশেষে কুয়েতে কলকাতা চাহিদা বেশি সেটা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনারা আমাদেরকে কমেন্টে জানাবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button