তাজহাট জমিদার বাড়ি কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কী খাবেন
তাজহাট জমিদার বাড়ি দেখতে হলে আপনাদেরকে রংপুর বিভাগ থেকে আরও ৬ কিলোমিটার ভেতরে মাহিগঞ্জের তাজহাট গ্রামে যেতে হবে। এই অপূর্ব জমিদার বাড়ি দেখতে একে বারে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের মত। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে প্রায় ২০০০ হাজার শ্রমিকের দ্বারা এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ১৯১৭ সালে তৎকালীন সময়ে এই জমিদার বাড়িটি নির্মান করতে প্রায় দেড় কেটি টাকা খরচ হয়েছিল। তাজহাট জমিদার বাড়ির চত্বরে অনেক গুলো গাছের সাড়ি দেখা যায়।
এই প্রাসাদের দুই পাশে রয়েছে দুইটি পুকুর। আরও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ, মেহগনি,কামিনি, আম ও কাঠাল গাছের সাড়ি। লাল ইট ও শ্বেত চুনা পাথরের তৈরি চারতলা বিশিষ্ট এই ভবনটি বাডিড়র তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় জমিদার গোপালের বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখা আছে। এছাড়া রয়েছে থাকার কক্ষ,গোসল খানা, এমনকি অতিথীদের জন্য থাকার কক্ষ। প্রায় ২১০ ফুট প্রস্তের প্রাচীন এই মুঘল তাজহাট জমিদার বাড়িটি ইতালীয় মার্বেল পাথরের তৈরি। ১৯৯৫ সালে তাজহাট জমিদার বাড়িটিকে সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল এবং ২০০৫ সালে রংপুর জাদুঘড়কে তাজহাট জমিদার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হয়েছিল। কালপাথরের প্রতিকৃতি ছারাও এখানে ৩০০ টিরও বেশি মূল্যবান নিদর্শন রয়েছে।
তাজহাট জমিদার বাড়ি কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে নিয়মিত ভাবে এখানে রংপুরের উদ্দেশ্যে বাস যাওয়া আসা করে। এসব বাসে করে আসলে আপনাদের জন প্রতি ভাড়া লাগতে পারে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা করে। আপনারা রংপুরে এসে রিক্সা করে এই তাজহাট জমিদার বাড়িতে যেতে পারেন। তবে আপনারা যদি ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের বাসে উঠেন তাহলে আপনারা তাজহাট জমিদার বাড়ির সামনে নামতে পারেন। তারপর আপনারা অনায়াসে জমিদার বাড়ি ঘুড়ে দেখতে পারেন।
তাজহাট জমিদার বাড়ি কোথায় থাকবেন
রংপুরে থাকার জন্য অনেক গুলো হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা আপনাদের সাধ্য অনুযায়ী এই হোটেলে রাত্রী যাপন করতে পারেন। রংপুর শহরে বিভিন্ন মানের হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা একটু খোজখবর নিয়ে আপনাদের পছন্দ মত হোটেলে রাত্রী যাপন করতে পারেন। রাতে থাকার জন্য আপনাদেরকে কোন রকমের চিন্তা করতে হবে না।এখানকার হোটেলগুলো সার্ভিস ব্যবস্থা অনেক ভালো।
তাজহাট জমিদার বাড়ি কী খাবেন
রংপুরে গেলে বিভিন্ন ধরনের ভাতের হোটেল এমনকি অনেক গুলো রেস্তরা আছে। আপনারা আপনাদের পছন্দ মত হোটেলে খাবার খেয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া আপনারা যদি গরম কালে বা আমের সময় যান তাহলে রংপুরের বিখ্যাত আম খেয়ে আসতে পারেন। এই খ্যিাত তাজহাট জমিদার বাড়ি দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার মানুষ আসে।