রামসাগর কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নত্তান্তিক নির্দশন সমুহের মধ্যে দিনাজপুরের রামসাগর অন্যতম। সৌন্দের্য্যে জন্য প্রতিবছর হাজর হাজার পর্যটক এখানে আসে। দিনাজপুর জেলা শহর থেকে সোজা দক্ষিনে প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তার পাশে এই রামসাগর অবস্থিত। এর আয়তন মোট ১৮৭ একর। এই দীঘিটি বেলে পাথর দিয়ে তৈরি। এই রামসাগরের পানি কোখনও শুকোয় না। দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ আলীবর্দীখানের সময়ে এই দীঘিটি খনন করা হয়। সে সময় দুভিক্ষের জন্য ক্ষুধার্থ ও নিপরিত মানুষের পিপাসা মেটাতে তিনি এই দীঘিটি খনন করা হয়েছিল।
বর্তমানে অসংখ্য গাছপপলায় সুসজ্জিত দীঘির পানিতে প্রতিছবি ভেসে উঠে। রামসাগরে প্রায় প্রতিবছরেও হাজারোও পর্যটকের ভিড় জমে যায়। সরকারের উদ্যেগে এবং জেলা প্রসাশনের তত্বাবধানে রামসাগরের সামরিক উন্নতির জন্য পুরকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
রামসাগর কিভাবে যাবেন
আপনারা ঢাকা থেকে সরাসরিবাসে করে দিনাজপুর যেতে পারেন। আপনারা চাইলে ট্রেনের মাধ্যমেও যেতে পারেন। ঢাকা থেকে প্রতিদিন এই রুটে বাস চলাচল করে।আপনারা চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে করে দিনাজপুর যেতে পারেন। আর সেখান থেকে আপনারা অটোত ,বা রিস্কায় করে রামসাগরে যেতে পারেন। বাসে করে যেতে চাইলে এসি বা নন এসি বাস পাওয়া যাব। আপনারা আপনাদের সুবিধা মত যাতায়াত করতে পারেন।
রামসাগর কোথায় থাকবেন
প্রতিদিন অনেক মানুষ এই রামসাগর দেখতে আসে। কেউ কেউ অনেক দুর থেকে আসে এখানে। আপনারা যেখান থেকে আসেন না কেন আপনাদেরকে প্রথমে দিনাজপুরে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে আপনারা অটোতে করে যেতে পারেন। কিন্তু আপনাদেরকে রাতে থাকার কথা চিন্তা করতে হবে না। রাতে থাকার জন্য দিনাজপুরে অনেক গুলো হোটেল এর ব্যবস্থা আছে আপনারা সেখানে থাকতে পারেন। এখানকার হোটেলের মান গুলো অনেক ভালো। তাই আপনারা অনায়াসে এখানে থেকে যেতে পারেন। তাছাড়া রামসাগরের ভেতরের একঅংশে বন বিভাগের এক বাংলো আছে। আপনারা চাইলে অনুমতি নিয়ে সেখানে থাকতে পারেন।
রামসাগর কোথায় খাবেন
দিনাজপুরের রামসাগরে গেলে আপনাদেরকে খাবারের কথা চিন্তায় করতে হবে না। কারন দিনাজপুরের খাবার হোটেলের মান গুলোঅনেক ভালো। এখানকার হোটেলে আপনি সব রকমের খাবার পাবেন। আপনি আপনার পছন্দ মত খাবার অর্ডার করে খেতে পারেন। দিনাজপুরে পাটিসাপটা পিঠার অনেক সুনাম। আপনারা চাইলে খেয়ে দেখতে পারে। এছাড়া এখানকার গরুর মাংসের হোটেলে আপনি দেখতে পারেন। আর সে জন্য বলতেছি খাবারের কথা আপনাদেরকে ভাবতে হবে না।