Bengali

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কী খাবেন

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম সুন্দর সমুদ্র সৈকত। চট্রগ্রাম থেকে সহজেই এই সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায় বলে এখানে অনেক মানুষ আসে। দিন দিন পর্যটকদের কাছে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। এই সমুদ্র সৈকতকে আরো বেশি দৃষ্টিনান্দ করে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতটি ৫ কিলোমিটার জায়গা জুরে অবস্থিত। এই পতেঙ্গা সৈকতকে আরো সুন্দর করার কাজ চলতেছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ার দৃষ্টিনান্দ সাজসজ্জা সবার মন কেড়েছে।

কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় অবস্থিত এই পতেঙ্গা সৈকত সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্থ যাওয়ার মনোরম পরিবেশ সবার মন কেরেছে। বিশেষ করে বিকেলের সময় আর সন্ধ্যার সময়টাকে দেখতে বেশি ভালো লাগে। এই সৈকতের ছোট বড় সারি সারি অনেক জাহাজ এর পরিবেশ কে আরও সুন্দর করে তোলে। এই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে স্পীড বোডে করে ঘোরে বেরানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কেনাকাটার জন্য রয়েছে অনেক গুলো মার্কেট। আর খাওয়া দাওয়া করার জন্য কোন রকমের সমস্যায় নেই।

কীভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আপনারা যেকোন ভাবে যেতে পারেন। আপনারা চাইলে সড়ক পথে কিংবা রেল পথে বা বিমানের মাধ্যমে চট্রগ্রামে যেতে পারেন। আপনারা আপনাদের সময় ও অর্থের দিক চিন্তা করে যাতায়াত করতে পারেন। আপনারা ঢাকা সায়দাবাদ থেকে বাসে করে চট্রগ্রামে যেতে পারেন। এই রোডে এসি বা নন এসি দুই ধরনের বাস চলে । ঢাকা থেকে ট্রেনের মাধ্যমে যেতে চাইলে আপনারা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা করতে পারেন। আবার যদি বিমানে করে যেতে চান তাহলে আপনারা ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বিমান চট্রগ্রামে আসে। সেটিতে করে যাতায়াত করতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

পতেঙ্গায় থাকার মত তেমন বেশি অপশন নেই । পতেঙ্গা থেকে চট্রগ্রাম কাছে বলে অনেকে চট্রগ্রামে চলে আসে থাকার জন্য। সৈকতের কাছে একটি ভালো মানের হোটেল আছে বাটারফ্লাই হোটেল আপনারা চাইলে সেখানে রাত্রী যাপন করতে পারেন। কিন্তু সেখানে থাকতে গেলে আপনাদের ৪ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কম খরচে পতেঙ্গার কাছে থাকতে চাইলে সেখানে কমখরচে মাঝারি হোটেল গুলোতে থাকতে পারেন।

আর আপনি যদি চট্রগ্রামে এসে থাকতে চান তাহলে এখানে বেশ কয়েকটি অপশন আছে। এখানে আপনি যেমনটা চান ঠিক তেমনি হোটেল পেয়ে যাবেন। আপনাকে শুধু কোন হোটেলে থাকবেন এবং কোনটির কত মূল্য সেটি সর্ম্পকে জানতে হবে।

কী খাবেন

চট্রগ্রামে অনেক গুলো খাবারের দোকান রয়েছে। সেখানে আপনারা বেশ কিছু ভাজা পোড়ার দোকান পাবেন আপনারা চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন। আপনারা যদি ঐতিয্যবাহী খাবার খেতে চান তাহলে আপনাদেরকে চট্রগ্রাম শহরের ভেতরে আসতে হবে। এছাড়া চট্রগ্রাম শহরে ছরিয়ে আছে বেশ কিছু রেস্তোরা আপনারা চাইলে সেখান থেকেও খাবার খেতে পারেন। অতেএব আপনাদেরকে খাবারের বিষয় টা চিন্তা করতে হবে না। আপনারা শুধু এই সমুদ্র সৈকতেটিকে উপভোগ করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button