লাউয়াছাড়া বন কীভাবে যাবেন, কোথায় খাকবেন, কী খাবেন
লাউয়াছাড়া বন মৌলভিবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক সুন্দয্যে ভরপুর একটি বন। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও বন্য পশু পাখি দিয়ে ভরা এই বন। গ্রীষ্মমন্ডলী এই চিরহরিৎ বনটির একর প্রায় ১২৫০ হেক্টর। এই বনটি ঘেষে চলে গেছে একটি রেলপথ। এখানে একটি ছবির শুটিং করা হয়েছিল। অ্যারাউন্ট দ্য ওর্য়াল্ড ইন এইটি ডেজ এই ছবিটির শুটিং এই বনের রেলপথের ধারে করা হয়েছে। লাউয়াছড়া বনে সেগুন, চাপালিশ, আগর রক্তন সহ মোট ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রকার উভয় চর প্রানী, ৬ প্রজাতির সরিসৃপ ও ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্য পায়ী প্রানী এখানে বাস করে।
বাংলাদেশের একমাত্র জীবিত আফ্রিকান টিকওন গাছটি এই লাউয়াছড়া বনে আছে। পৃথিবীর প্রায় ৪ টি দেশে উল্লুক পাওয়া যায় তার মধ্যে এই লাউয়াছড়া বনে বেশি পাওয়া যায়। এই জাতীয় উদ্দানটিতে অনেক রকমের সব কিছু পাওয়া যাবে যার অন্য কোন খানে দেখতে পাবেন।
লাউয়াছাড়া বন কীভাবে যাবেন
লাউয়াছড়া যেতে গেলে আপনাদেরকে প্রথমে শীমঙ্গলে বা কমলগঞ্জে যেতে হবে। আপনারা বাসে কিংবা ট্রেনে করেও যেতে পারেন। আপনাদেরকে প্রথমে ঢাকায় আসতে হবে। আর ঢাকা থেকে আপনারা ট্রেনে বা বাসে করে যেতে পারেন এই লাউয়াছড়া বনে। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মঙ্গলবার বাদ দিয়ে আপনারা প্রতিদিনি ট্রেনে করে এখানে যেতে পারেন। আর আপনারা যদি বাসে করে যেতে চান তাহলে আপনাদেরকে বুধবার বাদ দিয়ে আসতে হবে।
কারন বুধবারে বাস চলাচল করে না এই রুটে। ট্রেনে করে গেলে আপনারা প্রকৃতির সাথে এক সাথে যেতে পারেন। কারন ট্রেনে মনে হয় আপনি ট্রকৃতিকে কছে থেকে উপভোগ করতে পারেন।
লাউয়াছাড়া বন কোথায় খাকবেন
লাউয়াছড়া উদ্যানে আপনারা থাকার জন্য ফরেস্ট রেস্ট হাউজ পেয়ে যাবেন। আপনাদেরকে বন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিয়ে এখানে রাত্রী যাপন করতে হবে। তাছাড়া শীমঙ্গলে থাকার জন্য আপনারা ভালো মানের টি রির্সোট পেয়ে যেতে পারেন। অনান্য থাকার যায়গার মধ্যে রয়েছে ভালো মানের হোটেল। তাছাড়াও কমদামের মধ্যে কিছু হোটেল পেয়ে যাবেন সেখানেও আপনারা থাকতে পারেন। আপনারা আপনাদের পছন্দ এবং সামর্থ্য অনুসারে হোটেলে থাকতে পারেন।
লাউয়াছাড়া বন কী খাবেন
শীমঙ্গলে অনেক গুলো খাবারের দোকান রয়েছে। সেখানে আপনারা বেশ কিছু ভাজা পোড়ার দোকান পাবেন আপনারা চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন। আপনারা যদি ঐতিয্যবাহী খাবার খেতে চান তাহলে আপনাদেরকে শীমঙ্গল শহরের ভেতরে আসতে হবে। এছাড়া শীমঙ্গল শহরে ছরিয়ে আছে বেশ কিছু রেস্তোরা আপনারা চাইলে সেখান থেকেও খাবার খেতে পারেন। অতএব আপনাদেরকে খাবারের বিষয় টা চিন্তা করতে হবে না। আপনারা শুধু ভ্রমনটাকে উপভোগ করেন।