সাগরকন্যা কুয়াকাটা কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কী খাবেন
প্রাকৃতিক সুন্দরর্যের অপরুপ নীলাভুমি এই সাগরকন্যা কুয়াকাটা। এটি দেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। এটি দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাড়িয়ে সূর্যদোয় এবং সূর্যাস্ত্র দেখতে পাওয়া যায়। এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখতে প্রতিদিন হাজারোও মানুষের ঢল নামে এই কুয়াকাটায়। এখানে দেশের এমনকি বিদেশের মানুষও আসে দেখতে। বাংলাদেশে থেকে আপনি অনায়াসে এই প্রাকৃতিক সুন্দরর্য্য দেখতে পারেন এই কুয়াকাটায় । স্থানীয় মানুষ আর এই ভ্রমন পিয়াসিরা আদর করে এর নাম দিয়েছে সাগরকন্যা। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার এবং এর প্রস্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার। দর্শনার্থীদের জন্য এখানে রয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটরচাইকেল এবং ঘোড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্ষাকালে এই সমুদ্র উত্তাল থাকে তাই তখন দেখতে আরো ভালো লাগে। এই কুয়াকাটায় শুধু সমুদ্র সৈকত নয় এটিতে দেখার মত আরো অনেক কিছু রয়েছে।
সাগরকন্যা কুয়াকাটা কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে আপনারা সড়ক পথে সরাসরি যেতে পারেন এই কুয়াকাটায়। ঢাকার সায়দাবাদ ও গাবতলী থেকে সরাসরি আসতে পারেন এই কুয়াকাটায়। বাসের ভাড়া নিবে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। তাছাড়া আপনারা নদী পথেও যেতে পারেন । নদীপথের যাত্রা আরামদায়ক। কিন্তু নদী পথে আপনারা সরাসরি যেতে পারবেন না । নদীপথে যেতে চাইলে সেখান থেকে প্রথমে পটুয়াখালী তে যেতে হবে তারপর সেখান থেকে আরো তিনটি ফেরি পার হতে হবে। তারপর সেখান থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাস কিংবা বাসে করে আপনারা কুয়াকাটা পৌঁছে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে লঞ্চে গেলে ভাড়া লাগতে পারে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা।
সাগরকন্যা কুয়াকাটা কোথায় থাকবেন
কুয়াকাটায় গেলে আপাদেরকে থাকার কথা চিন্তা করতেহবে না। কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য থাকার উন্নত মানের হোটেলের ব্যবস্থা আছে। সবচেয়ে ভালো আবাসনের ব্যবস্থা পর্যটোন কর্পোরেশন ইয়ুথ ইন কুয়াকাটা। এখানে আপনারা অনায়াসে রাত্রী যাপন করতে পারেন। এই হোটেলে অনেক গুলো কক্ষের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া এখানে পর্যটনদের জন্য অন্য আরেকটি হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে হোটেল হলিডে হোম। এই হোটেলে উঠার জন্য আপনারা ঢাকা থেকে বুকিং করতে পারেন পর্যটনের প্রধান কার্যালয় থেকে । এছাড়া কুয়াকাটায় আরো অনেক হোটেল রয়েছে। আপনরা চাইলে সেখানে থেকে যেতে পারেন।
সাগরকন্যা কুয়াকাটা কী খাবেন
এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে যেখানে আপনারা আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার পেয়েযেতে পারেন। তাছাড়া এখানে বেশ কয়েকটি রেস্টরেন্ট রয়েছে। সেখান থেকে আপনারা খাবার পেতে পারেন। খাবারের জন্য আপনাদেরকে কোন রকমের ঝামেলায় পরতে হবে না। আপনারা যে কোন রকমের খাবার পেয়ে যাবেন।