কান্তজীর মন্দির কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন
কান্তজীর মন্দির বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিয্যবাহী মন্দির। এই মন্দিরটিকে অনেকে অনেক নামে চেনে থাকে। কেউ কেউ এটিকে কান্তজীর মন্দির আবার কেউবা কান্তনগর মন্দির বলে চেনে। এই কান্তজীর মনিাদরটি অবস্থিত দিনাজপুর শহর ২০ কিলোমিটার দুরে দিনাজপুর থেকে তেতুলিয়া রোডের প্রায় এক মাইল ভেতরে ঢেঁপা নদীর তীরে অবস্থিত এই কান্তজীর মন্দিরটি।
এই মন্দিরটির ভেতরে এবং বাহিরের দেওয়ালে অনেক রকমের মূর্তির ছবি দেখা যায়। এই মন্দিরটি দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে। আবার অনেকে পুজো করতে আসে এই মন্দিরটিতে। এই মন্দিরটির নির্মান কাজ শুরু করে তৎকালীন মহারাজা প্রাননাথ রায় ১৭২২ সালে এবং তার মৃত্যুর পরে পোষ্যপুত্র রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে এর নির্মানের কাজ শেষ করে।
এই মন্দিরটির বাহিরের দেওয়াল জুড়ে প্রায় ১৫০০০০ পোড়ামাটির ফোলক দিয়ে মোড়ানো। তিন ধাপ বিশিষ্ট এই মন্দিরটি চারদিকে এবং ভেতরে অনেক দেবমূর্তি দেখা যায়।এই মন্দিরের স্তম্ভগুলো মনে হয় যেন অলংকার দিয়ে মোড়ানো। এই মন্দিরটিতে মোট ১ম ,২য় এবং ৩য় তলা মিলে মোট ৫১ টি দরজার খিলান রয়েছে। কান্তজীর মন্দিরের পশ্চিম দিকের বারান্দায় উপড়ে যাওয়ার সিড়ি রয়েছে।
কান্তজীর মন্দির কীভাবে যাবেন
আপনারা এই কান্তজীর মন্দির যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস পাবেন। আপনি ঢাকা থেকে বাসে করে বা ট্রেনে করে দিনাজপুর যেতে পারেন। আর দিনাজপুর থেকে বাসে করে আপনারা এই কান্তজীর মন্দির যেতে পারবেন। সাধারনত ঢাকা গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে দিনাজপুর গামী বাস পেয়ে যাবেন। এছাড়া রাজধানী উত্তরা থেকেও আপনারা বাস পেয়ে যেতে পারেন।
তাছাড়া ট্রেনের মাধ্যমে ও আপনারা যেতে পারেন। আপনার ট্রেনে করে দিনাজপুর যেতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনারা বাসে করে এই কান্তজীর মন্দির যেতে পারবেন। তাছাড়া ঢাকা থেকে এসি নন এসি বাসে করে আপনারা যেতে পারেন।দিনাজপুর থেকে অটোরিক্সায় বা সিএনজিতে করে আপনারা কান্তজীর মন্দির যেতে পারেন।
কান্তজীর মন্দির কোথায় থাকবেন
আপনারা চাইলে দিনাজপুরে হোটেলে থাকতে পারেন। দিনাজপুরে উন্নত মানের হোটেলের ব্যবস্থা আছে। সেখানে আপনারা থাকতে পারেন। আপনাকে ঢাকা থেকে যে হোটেলে উঠবেন সেই হোটেলের নাম্বারে ফোন করে বুকিং করতে পারেন। হোটেল ভাড়া আপনাদের ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার পর্যন্ত নিতে পারে এক রাত্রী যাপন।
আপনারা আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী হোটেলের টিকিট বুকিং করতে পারেন। দিনাজপুরে বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। আপনারা সেখানে থাকতে পারেন।
এছাড়া দিনাজপুরে রামসাগরে অবস্থিত বনবিভাগের বাংলোতে অনুমতি নিয়ে উঠতে পারেন। এখানে সাধারন কক্ষ এবং এসি কক্ষে রাত্রী যাপন করতে পারেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
কান্তজীর মন্দির কোথায় খাবেন
দিনাজপুরে বেশ কয়েকটি খাবার হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে খাবারের ব্যবস্থা অনেক ভালো। দিনাজপুরে হোটেলে গরুর মাংস,কাঠি কাবাব খুব ভালো মানের পাওয়া যায়। আপনারা দেখতে পারেন। দিনাজপুরে পাটিসাপটা পিঠা খুব ভালো মানের পাওয়া যায় আপনারা দেখতে পারেন। আপনাদেরকে খাওয়ার কথা চিন্তা করতে হবে না। তাছাড়া পুলহাটে আপনারা আবুলের হোটেলে কাশি,গরু,মুরগির মাংস,ডাল সবজি দিয়ে আপনাদের আহার সেরে নিতে পারেন।