সহজ.কম ট্রেনের টিকেট এবং অলাইনে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার নিয়ম
সহজ.কম ট্রেনের টিকেট:
বর্তমান সময়ের ট্রেনের টিকিট কাটার পদ্ধতি এসেছে ভিন্নতা। কারণ গত১০ বছর ধরে Cnsbd নামক একটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গত২৪ march সহজ ডট কম এর নামে অনলাইন প্লাটফর্মকে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাই ট্রেনের টিকিট কাটা থেকে এসেছে ভিন্নতা। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এবং অ্যাপসের মাধ্যমে। এছাড়া ম্যানুয়ালি কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার ব্যবস্থা রয়েছে।
আপনারা সহজ ডট কম এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করবেন। সহজ ডট কম হচ্ছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টিকিট ক্রয় করা অনলাইন মার্কেটপ্লেস। আগে শুধুমাত্র এবং বিমানের টিকিট ক্রয় করা যেতো সহজ ডটকম এর মাধ্যমে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে বাস,লঞ্চ ,সাথে যুক্ত হয়েছে ট্রেন। গত ২৪ মার্চ থেকে সহজ ডট কম এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা যাবে।আর সহজ ডটকমের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে হলে আগের মত সুবিধা পাবেন না। শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেন টিকিট করে।
কিভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজ ডট কম থেকে ট্রেনের টিকিট কাটবেন:
কিছুদিন আগেও যখন ট্রেনের টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে টাকা প্রচলন ছিল তখন মানুষ রেল সেবা অ্যাপস অথবা ইসেবা থেকে এই টিকিট কাটতে পারছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণে যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় তার জন্য নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসা হয়েছে এবং এই পদ্ধতিতে আপনার রেল সেবার পরিবর্তে সহজ অ্যাপ এর মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারবেন। তাই টিকিট কাটার জন্য আপনারা play store থেকে সহজ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।
কবে থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে:
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে শুধু অক্ষর অথবা শুধু ডিজিট ব্যবহার না করে আপনারা যদি অক্ষর ডিজিটাল একসঙ্গে ব্যবহার করেন তাহলে সেই পাসওয়ার্ড অনেক শক্তিশালী হবে। তাছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে আপনাদের যেটি ব্যবহার করতে হবে সেটি হল আপনার নিজস্ব মোবাইল অ্যাড্রেস। তারপরে আপনি যখন সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করবেন তখন আপনার ফোনে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। এই ওটিপি পাঠানোর মাধ্যমে আপনি ওটিপি দিয়ে লগইন করবেন।
তাহলে আপনার সহজ এপস একাউন্ট খোলা হয়ে গেল এবং পরবর্তীতে এই অ্যাপসে প্রবেশ করে দেখে নিন কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। আপনি প্রথমে এই অ্যাপস এ প্রবেশ করবেন এবং প্রবেশ করার পর আপনার যাত্রা কোন জায়গা থেকে শুরু হবে এবং কোন জায়গায় শেষ হবে তার সিলেক্ট করুন। তারপরে আপনি কত তারিখে যাত্রা করতে চান তা সেখানে সিলেক্ট করার পর পরবর্তী ধাপে যাবেন। পরবর্তী ধাপে গেলেই আপনার সামনে সেই তারিখে যে ট্রেন চলাচল থাকবে সেই ট্রেনের লিস্ট চলে আসবে।
ট্রেনের লিস্টের ভেতর থেকে আপনি যে ট্রেনে যাতায়াত করতে আগ্রহী সেই ট্রেন সিলেট করতে হবে। সিলেক্ট করার পর আপনাদের ক্লাস বা শ্রেণি সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যে ক্লাসে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক তার সিলেক্ট করার পরে আপনার সামনে সিট চয়েজের অপশন চলে আসবে। আপনি আপনার পছন্দমত সিট চয়েজ দিয়ে নিতে পারবেন এবং কেউ যদি আপনার আগে টিকিট কেটে ফেলে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার ইচ্ছামত সিট চয়েস দিতে পারবেন না। আপনি আপনার পছন্দের সিট সিলেক্ট করার পরে পরবর্তী ধাপে যাবেন এবং আপনাকে সিটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
সিটের মূল্য পরিশোধ করার ক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন এবং যে মাধ্যম ব্যবহার করবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। যে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে চান সেই অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করার পরে আপনাদের থেকে একাউন্টের পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে দেওয়ার পরে আপনাদের ফোনে এটি পিন নাম্বার যাবে, সেটি সঠিকভাবে এখানে এনে বসিয়ে দিলে কিছুক্ষণের ভেতরে আপনার ডাউনলোড করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। ডাউনলোড করার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনারা তা ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রিন্ট আউট দিয়ে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম কোনটি?
বর্তমানে অনলাইনে টিকিট কেনার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইট থেকে পূর্বের নিয়ম অনুসারে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায়?
অনলাইনে চার দিন আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। অর্থাৎ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট চারদিন আগে পাওয়া যায়। অনলাইনে আজ এবং আগামী ৪ দিন সহ মোট ৫ দিনের টিকিট কাটা যাবে।
অনলাইনে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটবো ?
অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য এই টিকেট ওয়েবসাইট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর প্রোফাইলের তথ্য আপডেট করার পর, পছন্দের গন্তব্য অনুযায় ট্রেন সার্চ করে পেমেন্ট সম্পন্ন করে টিকিট কাটতে পারবেন।
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সরাসরি কি টিকিট কাটতে পারব ?
না, অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য আপনার মোবাইল, ইমেইল ও এনআইডি নম্বর দিয়েই টিকেট সিস্টেম একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং প্রোফাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে।
বিকাশ থেকে টাকা কেটে নিয়েছে কিন্তু টিকিট বুকিং হয়নি, কিভাবে টাকা ফেরত পাব?
টিকিট ইস্যু না হলে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে কর্তন করা টাকা পরবর্তী আট কর্ম দিবসের মধ্যে আপনার একাউন্টে ফেরত দেওয়া হবে।
ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিট কিভাবে অনলাইন ভেরিফিকেশন করতে হয়?
ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা অফলাইন টিকেট ভেরিফিকেশন করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই টিকেট ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন ও মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন। তারপর ভেরিফাই টিকেট মেনুতে গিয়ে মোবাইল নম্বর টিকেট নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
শোভন চেয়ার কি ?
শোভন চেয়ার হচ্ছেন নন এসি ক্লাসেস চেয়ার সিট। দেশের সকল মেইল ট্রেন ও কিছু আন্তঃনগর ট্রেনের সিট থাকে। ট্রেনের সবচেয়ে কম খরচের সিট এবং আরামদায়ক নয় এই সিট। এর পুরো নাম হচ্ছে এস চেয়ার বা শোভন চেয়ার।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম কি?
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য রেল সেবা অ্যাপ এ ই টিকিট ওয়েবসাইটের লগইন করতে হবে। প্রোফাইল থেকে Purchase History অপশনে গিয়ে টিকিটের তালিকার ডান পাশে Refund বাটনে ক্লিক করুন, এরপর মোবাইলে আসাOTP দিয়ে ফেরত নিশ্চিত করুন ।
ট্রেনের টিকিট কাটতে কি কি লাগে?
ট্রেনের টিকিট কাটতে ভ্রমণকারী জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন এবং একটি মোবাইল নম্বর লাগে। অন্য কারো জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে টিকিট ক্রয় করা যাবে না।
অনলাইন রেলওয়ে টিকেটযোগ্য কিনা?
হ্যাঁ, অনলাইন রেলওয়ে টিকেট ফেরত যোগ্য। তবে ট্রেন ছাড়া ছয় ঘন্টার কম সময়ের জন্য ফেরত যোগ্য নয়।
সবশেষে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ট্রেনের টিকেট কাটার টিকিট ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যদি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো থাকে অবশ্যই লাইক শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন।