Bengali

বাবা দিবসের ইতিহাস,গুরুত্ব ও তাৎপর্য

বাবা দিবসের ইতিহাস

প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা ভালো আছেন আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ভালো আছি।আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চলেছি বাবা দিবসের কিছু ইতিহাস সম্পর্কে। আপনারা যারা অনলাইনে বাবা দিবসের ইতিহাস খুঁজে থাকেন তাদের জন্য আজকে আমাদের এই পোস্টটি। সারা বিশ্বের প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। বাবা দিবস কোথা থেকে কিভাবে শুরু হল সেই ইতিহাস অনেকেরই অজানা। দিবস পালন করার পূর্বে সেই বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। না জেনে না বুঝে যেকোনো দিবস পালন করা সমীচীন হয়ে উঠে না। যাইহোক আপনি যদি বাবা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের  পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বাবা দিবসের ইতিহাস-

বাবা দিবসের ইতিহাস অনুসন্ধান করলে পিতৃভূক্ত একজন নারীর কথা সামনে চলে আসে।, যিনি তার পিতাকে অত্যন্ত ভালবাসতেন পিতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য নিজ উদ্যোগে সর্বপ্রথম এই বাবা দিবস টিচার পালন করা শুরু করেন। আর তিনি হলেন সনরা স্মার্ট ডট তিনি কোন এক সকাল গির্জা গমন করেন সেখানে তিনি গির্জার ফাদারদেরকে মায়ের প্রতি ভালোবাসার এবং মা দিবসের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করতে দেখেন।

মায়ের প্রতি এ ধরনের ভালোবাসা এবং সম্মানবোধ তাকে বড়ই আপ্লুত করে তোলেন কিন্তু মনে করেন মা যেমন সন্তানকে  লালন পালন করার জন্য জীবনের সর্বোচ্চ দান করেন ঠিক তেমনি বাবা তার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে সারা জীবন ব্যয় করে দেন। যেহেতু মায়ের মত বাবাও সন্তানকে ভালোবাসেন সন্তানকে লালন পালন করেন সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেন তাহলে মাঝেমধ্যে পালিত হয় সেহেতু বাবা দিবস কেন পালিত হবে না। সেজন্য তিনি নিয়ে যুদ্ধে গিয়ে বাবা  দিবস পালন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সনোরা  স্মার্ট ডট মনে প্রানে পিতার প্রতি ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশের জন্য বাবা দিবস পালন করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সে সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি 1910 সালের ১৯  জুন সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে বাবা দিবস পালন করেন। এভাবে তিনি প্রতিবছর বাবা দিবস পালন করে যাচ্ছিলেন এবং পালন করার ব্যাপারে অনেকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

তবে তার এই এখন তো প্রচেষ্টার ফলে অনেকেই বাবা দিবস পালন করার সচেষ্ট হয় যদিও কেউ কেউ বাবা দিবস পালন করার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।  তারা মনে করতেন যে বাবা দিবস পালন করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বাবা দিবস পালন করার প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এমনকি একপর্যায়ে বাবা দিবস পালন করার বিষয়টি সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট  আলোচনা উদযাপন করা হয়। এবং ১৯১৩ সালে বাবা দিবসকে সরকারি ছুটির দিবস হিসেবে ঘোষণা করার বিল উত্থাপন করা হয়।

বিশ্ব বাবা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য-

বাবা দিবস উদযাপনের ইতিহাস সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ব বাবা দিবসের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হবে বাবা দিবস ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিবস।  এই দিবসটিতে প্রত্যেক সন্তানদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে তার পিতার প্রতি তার যে সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে সে দায়িত্ব কর্তব্যগুলোর  সে যথাযথভাবে পালন করছে কিনা।

সারা বছর বিভিন্ন কাজ করলে ব্যস্ত থাকা যদি আপনি আপনার  হক সঠিকভাবে আদায় করতে না পারেন তাহলে আপনার জন্য ক্ষতির কারণ। বাবা দিবসে আপনি সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাষা ভাবার অবসর পাবেন অর্থাৎ এই দিনটিতে আপনি সফল হিসাব নিকাশ করতে পারবেন যে বাবা জন্য কতটুকু করা উচিত ছিল আর কতটুকু করতে পেরেছি। এক কথায় বাবা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য  খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে, যদি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বাবার জীবন সম্পর্কে সবকিছু জানতে পেরেছেন। কেননা বাবা দিবসের ইতিহাস গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের আর্টিকেল দিয়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button