ঢাকা থেকে চরখালী লঞ্চের সময়সূচী, ভাড়া, টিকেট বুকিং কাউন্টার নাম্বার ২০২৩
নদীবহুল এই দেশে যোগাযোগের সবচেয়ে ভালো মাধ্য হলো লঞ্চ। চরখালী মানুষের কাছে লঞ্চ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। তাই অনেকে এই রাস্তা পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে লঞ্চকে বেছে নেয়। আর অনেকেই ভ্রমনের জন্য এই লঞ্চ যার্নিটাকে বেছে নেয়। কারন লঞ্চের মাধ্যমে আপনি স্বচ্ছ পানির উপর দিয়ে যার্নি করতে পারবেন। লঞ্চে উন্নত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি চাইলে এখানে স্বল্পমূল্যে ইলিস সহ যেকোন ধরনের খাবার পেয়ে যাবেন।
বিনোদনের জন্য আপনি ছাদে গিয়ে প্রাকৃতিক সুন্দর্য্যকে উপভোগ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লঞ্জের ক্যান্টিন থেকে মুখরোচক খাবার পেয়ে যেতে পারেন। লঞ্চে সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই বেশির ভাগ মানুষ এই লঞ্চ যার্নিটাকে বেছে নেয়। তাছাড়া লঞ্চে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। সার্বক্ষনিক তদারকি করার জন্য এখানে মানুষ আছে। তাই অনেকে এই লঞ্চ যার্নিটাকে বেছে নেয়।
ঢাকা টু চরখালী লঞ্চের সময়সূচী
ঢাকা থেকে চরখালী লঞ্চে যাতায়াতের জন্য আপনি দিনের যে কোন সময়ে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে চরখালী লঞ্চে যেতে গেলে আপনাকে ঢাকার লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনালে যেতে হবে। সেখান থেকে চরখালী রুটে চলাচল কারী কোন লঞ্চটি আছে সেটি দেখতে হবে। আর কোন লঞ্চে করে যাবেন কোন লঞ্চটি কখন ছাড়বে সে সব কিছু জেনে নিতে হবে। হয়ত দেখা গেলো যে আপনি সঠিক সময় জানেন না সে জন্য আপনাদের লঞ্চ মিস হয়ে গেলো।
সঠিক সময় না জানলে টার্মিনালে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবেন না এমনকি আপনাদের লঞ্চ মিস হয়ে যেতে পারেন। আর আপনাদের যার্নিটাও খারাপ হয়ে যোতে পারে।আর ঠিক সে কারনে আপনাকে লঞ্চের সময় ভালো করে জেনে নিতে হবে।
ঢাকা টু চরখালী লঞ্চের ভাড়া
ঢাকা থেকে চরখালী নদী পথে যেতে চাইলে বিভিন্ন লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিটি লঞ্চের ভেতরে বিভিন্ন রকমের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন আসনের বিভিন্ন দাম হয়ে থাকে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী আসন বেছে নিতে পারেন। সে কারনে আপনাকে টিকেটের সঠিক মূল্য জানতে হবে। আপনি চাইলে কম টাকার আসনও নিতে পারেন আবার চাইলেই বেশি টাকার আসন নিতে পারেন। সেটা আপনার সার্মথ্য অনুসারে নিতে পারেন।
ঠিক সে জন্য আপনাকে এর ভাড়া সর্ম্পকে জানতে হবে। ভাড়া জানলে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন সেখান থেকেই টিকিট ক্রয় করতে পারবেন এবং সুন্দর যার্নি করতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে লঞ্চ টার্মিনালে গিয়েও টিকিট পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ঘড়ে বসেই টিকিট কিনতে হয়। আর আপনি যদি টিকিটের সঠিক ভাড়া কত সেটায় না জানেন তাহলে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন না। আর আপনার যার্নিটা ভালো নাও হতে পারে।
দুরত্ব | প্রথম শ্রেণীর ভাড়া | দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাড়া | সুলভ শ্রেণীর ভাড়া |
ঢাকা থেকে চাঁদপুর | ২৩৫/= টাকা | ১৪০/= টাকা | ৫০/= টাকা |
ঢাকা থেকে বরিশাল | ৫৬৫/= টাকা | ৩৫৫/= টাকা | ৯৫/= টাকা |
ঢাকা থেকে ঝালকাঠি | ৬৫৫/= টাকা | ৩৯০/= টাকা | ১০০/= টাকা |
ঢাকা থেকে কাউখালী | ৭১৫/= টাকা | ৪৪০/= টাকা | ১০৫/= টাকা |
ঢাকা থেকে হুলার হাট | ৭৪৫/= টাকা | ৪৫০/= টাকা | ১২০/= টাকা |
ঢাকা থেকে চরখালী | ৭৭৫/= টাকা | ৪৫০/= টাকা | ১২৫/= টাকা |
ঢাকা থেকে বড় মাছুয়া | ৮৮০/= টাকা | ৫৩০/= টাকা | ১৩৫/= টাকা |
ঢাকা থেকে সন্যাসী | ৮৮৫/= টাকা | ৫৪৫/= টাকা | ১৪০/= টাকা |
ঢাকা থেকে মোড়েল গঞ্জ | ৮৮৫/= টাকা | ৫৪৫/= টাকা | ১৪০/= টাকা |
ঢাকা থেকে মংলা বন্দর | ১২৩০/= টাকা | ৬২৫/= টাকা | ১৬০/= টাকা |
পরিশেষে, আপনার সুস্ততা কামনা করি। আর আপনার ভ্রমন সুন্দর হয়ে উঠুক।