ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচী, ভাড়া, টিকেট বুকিং কাউন্টার নাম্বার ২০২৩
আমাদের দেশের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নৌপথ। এই নৌপথের মাধ্যমে অনেকে যাতায়াত করতে পছন্দ করতেন। বাংলাদেশের যে সব গ্রাম গঞ্জ এবং বাজার গুলো আছে সে গুলো মূলত নৌপথ কেন্দ্রে করে গড়ে উঠেছিল। কালের আবর্তনের ফলে এবং যুগের তালে তালে এই সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। আগের সব ছোট বড় মাঝারি আকারের নৌপথ গুলো পরিবর্তিত হয়ে এখন লঞ্চ, স্টিমারের পরিনত হয়েছে। এখন যাতায়াতের জন্য যে গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো ইন্জিন চালিত হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের নদীগুলো ক্রমবর্ধমান কমে যাওয়ার কারন হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি। কিন্তু বর্তমানে যে সকল নদী তাদের নব্যতা ধরে রেখেছে সে সকল নদীতে এখনও ছোট বড় নৌ চলাচল করছে। তাদের মধ্যে একটি হলো ঢাকা থেকে চাঁদপুর যাওয়ার এই নৌপথটি। আপনি যদি ঢাকা থেকে চাঁদপুর যাওয়ার জন্য একজন নিয়মিত যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের এই নিবন্ধনটির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চের সময়সূচী
আমাদের জীবনে ভ্রমন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আমরা সবাই ভ্রমন করতে ভালো বাসি। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ভ্রমন করেন তাদের শখ পুরন করার জন্য আবার অনেকে আছে যে কাজের ক্ষেত্রে ভ্রমন করে থাকে। প্রয়োজনেই ভমন হউক আবার শখের জন্য হউক না কেন ভ্রমন তো ভ্রমনই হয়ে থাকে। আর সেই ভ্রমন যদি হয় নৌপথে তাহলে তো আর কোন কথায় থাকে না। ঢাকা টু চাঁদপুর চলাচলকারী সকল লঞ্চ গুলোই তাদের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলে। বাংলাদেশের সরকারের সময় অনুযায়ী এই লঞ্চ গুলো চলে তাই তাদের একটি নির্ধারিত সময় থাকে।
সেই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এই লঞ্চ গুলো চলাচল করে থাকে। আর সে কারনে আপনাদেরকে এই লঞ্চের সময় জানতে হবে। প্রতিটি লঞ্চের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে সেই একই সময়ে এই লঞ্চ গুলো যাতায়াত করে থাকে। তাই আপনারা কোন লঞ্চের মাধ্যমে যাবেন সেটি ঠিকঠাক করে আপনাকে তার সময় সর্ম্পকে জানতে হবে। তাহলে আপনারা সঠিক ভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারবেন।
সিরিয়াল নং | লঞ্চের নাম | লঞ্চ ছাড়ার সময়সূচী |
০১ | সোনার তরী, বাগের হাট | সকাল ৬:৪৫ মিনিট |
০২ | এম ভি সোনার তরী | সকাল ৭:২০ মিনিট |
০৩ | এম ভি মেঘনা রানী-১ | সকাল ৮:০০ মিনিট |
০৪ | এম ভি মেঘনা রানী-২ | সকাল ৮:০০ মিনিট |
০৫ | এম ভি রোগদাদীয়া | সকাল ৮.৩০ মিনিট |
০৬ | এম ভি ঈগল | সকাল ৯:০০ মিনিট |
০৭ | এম ভি ডি রফ রফ | সকাল ৯:৩০ মিনিট |
০৮ | এম ভি অফ এ জমজম-১ | সকাল ৯:১৫ মিনিট |
০৭ | এম ভি মিতালী-২ | সকাল ৯:৫০ মিনিট |
০৯ | এম ভি স্বর্ণদ্বীপ | সকাল ১০:১৫ মিনিট |
১০ | এম ভি ইমাম হাসান-২ | সকাল ১১:০০ মিনিট |
১১ | এম ভি ইমাম হাসান-৫ | সকাল ১১:৪৫ মিনিট |
১২ | এম ভি ময়ূর- ৭ | দুপুর ১২:১৫ মিনিট |
১৩ | এম ভি ময়ূর -২ | দুপুর ১২:৩০ মিনিট |
১৪ | এম ভি ঈগল-২/৩ | দুপুর ২:৩০ মিনিট |
১৫ | এম ভি রফ রফ | দুপুর ৩:৩০ মিনিট |
১৬ | এম ভি ঈগল -৭ | দুপুর ৪:৩০ মিনিট |
১৭ | এমবি সোনার তরী -১ | বিকাল ৪:৩০ মিনিট |
১৮ | এম ভি নিউ আল বোরাক | বিকাল ৫:২০ মিনিট |
১৯ | এম ভি রিপল/ সোনার তরী | বিকাল ৭:৪৫ মিনিট |
২০ | এম ভি আব এ জমজম | বিকাল ১১:৩০ মিনিট |
২১ | এমবির রফ রফ রাত | রাত ১১:৩০ মিনিট |
২২ | এম ভি শম্পা | রাত ১২:০০ মিনিট |
ঢাকা থেকে চাঁদপুরের লঞ্চের ভাড়া
লঞ্চের যার্নির সবচেয়ে একটি গুরুত্বপূর্ন দিক হলো এর টিকেটের মূল্যের দিকটি। এখন কেউ আর কাউন্টারে গিয়ে টিকেট কাটে না। এখন ঘরে বসেই সবায় লঞ্চের টিকেট কাটে। ঘরে বসেই লঞ্চের টিকেট কাটলে সেই লঞ্চের বিষয়বস্তু সর্ম্পকে জানতে হবে। তাহলে সে অনায়াসে কোন রকম ঝামেলা ছাড়ায় লঞ্চে ভ্রমন করতে পারবে।
লঞ্চ যার্নিটা এমন একটা বিষয় হয়ে দারিড়েছে যে কম বেশি সবায় এই লঞ্চ ভ্রমন করতে চায়। সবায় লঞ্চে ভ্রমন করতে চায় বলে লঞ্চের টিকেটের সংকট পরে যায় । সেজন্য অনেকে অনলাইনে টিকেট ক্রয় করতে চায়। অনলাইনে টিকেট ক্রয় করলে লঞ্চের সময় এবং লঞ্চের ভাড়া সর্ম্পকে জানাটা দরকার।
সিরিয়াল নং | লঞ্চের কেবিন | ভাড়ার তালিকা |
০১ | লঞ্চের ডেকের ভাড়া | ১১৫ টাকা |
০২ | নন এসি চেয়ারের ভাড়া | ১৮০ টাকা |
০৩ | বিজনেস ক্লাস এসি চেয়ারের ভাড়া | ৩০০ টাকা |
০৪ | নন এসি সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া | ৫০০ টাকা |
০৫ | এসি সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া | ৬০০ টাকা |
০৬ | নন এসি ডাবল কেবিনের ভাড়া | ১০০০ টাকা |
০৭ | নন এসি মিনি ভি আই পি কেভিন ভাড়া | ১৮০০ টাকা |
০৮ | ফ্যামেলি কেবিন ভাড়া | ১৫০০ টাকা |
০৯ | ভি আই পি কেবিন ভাড়া | ২২০০ টাকা |
১০ | ভি আই পি কেবিন ভাড়া | ২৫০০ টাকা |
১১ | এসি ডাবল কেবিনের ভাড়া | ১২০০ টাকা |
পরিশেষে, আপনাদের যার্নি শুভ হউক সেই কামনা করি। আর আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সব বিষয় জানানোর চেষ্টা করা হলো। আশা করি আপনাদের অকেন কাজে আসবে।