আসরের নামাজ কয় রাকাত,নিয়ত,সময় এবং কিভাবে পড়তে হয়
আসরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি?
আসরের নামাজ মোট আট রাকাত অর্থাৎ চার রাকাত সুন্নত ও চার রাকাত ফরজ। ধারাবাহিকতার সাথে প্রত্যেক নামাজ আদায় করতে হয়। আসরের নামাজের ধারাবাহিকতা রয়েছে।প্রথমে চার রাকাত সুন্নত এবং এরপর চার রাকাত ফরজ আদায় করতে হয়। এভাবে মোট আট রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়।
চার রাকাত সুন্নত- চার রাকাত ফরজের মতোই। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়। এভাবে চার রাকাত সুন্নত শেষ করতে হবে।
আসলে চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত:
আসলে চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়া অত্যাবশ্যকীয়। প্রত্যেক নামাজের আলাদা নিয়ত থাকে। আসলে চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত হলো:
নাওয়াইতুন আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আর বারাকায়াতি সালাতিল আছরি ফারজুল্লাহি তায়লা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিশ কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
নিয়ত বাংলাতেও করা যায়। বাংলা নিয়তি হল: আমি ক্যাবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে আসলে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য দাড়ালাম আল্লাহু আকবার।
আসরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?
চার রাকাত ফরজ- প্রথম রাকাতে জায়নামাজের দোয়া ও চার রাকাত ফরজের নিয়ত পাঠ করতে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে ছানা পড়তে হবে। এরপর সূরা ফাতিহা পড়ে অন্য যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। সূরা পড়ার শেষ হলো সুবাহানা রাব্বি আল আজিম যে কোন বিজোড় সংখ্যক বার পড়তে হবে। সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা যে কোন বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে। আল্লাহু আকবার বলে সিজদা দিতে হবে।
এভাবে দ্বিতীয় রাকাত শুরু করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে নিয়ত বলার প্রয়োজন নেই।সূরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। এভাবে দ্বিতীয় রাকাত শেষ করতে হবে বাকি প্রক্রিয়াগুলো প্রথম রাকাতের মতই। শুধুমাত্র সেজদার পর তা সাহুত পাঠ করতে হবে। তৃতীয় রাকাতে কোন নিয়ত বলতে হবে না এবং সূরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা মিলানোর প্রয়োজন নেই।
দ্বিতীয় রাকাতের মতই চলবে তবে এক্ষেত্রে সেজদা দেওয়ার পর সোজা উঠে গিয়ে চতুর্থ রাকাত শুরু করতে হবে। অন্য রাকাতের মত আদায় করতে হবে পার্থক্য শুধু সূরা ফাতিহার পর কোন সুরা মিলানোর প্রয়োজন নেই।। সেজদা দেওয়ার পর তাশাহুদ, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাতে হবে। সালাম ফিরানো শেষ হলে মোনাজাত ধরতে হয়।
আসরের নামাজের সময়:
বস্তুর মূল ছায়ার একগুন হওয়ার পর হতে আসরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং দুই গুণ হলে শেষ হয়। তবে সূর্যাস্তের প্রাক্কালে রক্তিম সময়ে পর্যন্ত আসর পড়া জায়েজ আছে।
অবশেষে আশা করি যে আপনার আসরের নামাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা আসলে নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন্ এ সম্পর্কে আরো কিছু জানা থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।